মহান বিজয় দিবসের ৫৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের শ্রদ্ধা জানাতে প্রস্তুত সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধ।
ফুল আর রং তুলির আচড়ে সাজানো হয়েছে পুরো স্মৃতিসৌধ। সার্বিক নিরাপত্তায় পুলিশের পক্ষ থেকে নেয়া হয়েছে চার স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা। মোতায়েন থাকবে ৪ হাজার পুলিশ সদস্য।
১৬ ডিসেম্বরের প্রথম প্রহরে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাবেন রাষ্ট্রপতি, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা, উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্যগণ, দেশ-বিদেশের কূটনৈতিক ব্যক্তিবর্গসহ সর্বস্তরের জনগণ।
সাভার গণপূর্ত বিভাগ থেকে জানা যায়, মহান বিজয় দিবস কেন্দ্র করে ১০৮ হেক্টর জমির ওপর নির্মিত জাতীয় স্মৃতিসৌধে নভেম্বর মাস থেকেই সকল ধরণের সংস্কার কাজ করে যাচ্ছে গণপূর্তের কর্মীরা। স্মৃতিসৌধ চত্বরে ধোয়ামাছাসহ সৌন্দর্যবর্ধনের কাজ ইতিমধ্যে শেষ হয়েছে। স্মৃতিসৌধের ফটক ও দেয়ালে করা হয়েছে আলোকসজ্জা। খালি জায়গাগুলোতে বসানো হয়েছে ফুলের টব।
সরেজমিনে গিয়ে আজ দুপুরে স্মৃতিসৌধে গিয়ে দেখা যায়, স্মৃতিসৌধ চত্বরের সড়ক পানি দিয়ে ধুয়ে-মুছে ফেলা হয়েছে। লাল ইটের গাথুনিতে সাদা রংয়ের আচড় বসানো হয়েছে। বিভিন্ন স্থানে রোপন করা হয়েছে বিভিন্ন প্রজাতির নতুন নতুন ফুলের চারা। রঙের আঁচর পড়েছে সড়কবাতিগুলোর লোহার পাইপে।
এদিকে, কাজের সুবিধার্থে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত দর্শনার্থী প্রবেশে রয়েছে নিষেধাজ্ঞা। ফলে অনেকে মূল ফটকের বাইরে থেকে স্মৃতিসৌধ দেখেই চলে যাচ্ছেন তারা।
জাতীয় স্মৃতিসৌধের ইনচার্জ ও সাভার গণপূর্ত বিভাগের উপসহকারী প্রকৌশলী আনোয়ার হোসেন খান আনু বলেন, ১৬ ডিসেম্বর স্মৃতিসৌধে মানুষের ঢল নামবে। রাষ্ট্রপতি, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টাসহ দেশ বিদেশের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা এদিন শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাবেন। আমরা গণপূর্ত অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে পুরো স্মৃতিসৌধ চত্বর পরিষ্কার পরিচ্ছন্নকরাসহ নানাভাবে সাজিয়েছি। রঙ করা, নতুন ফুলের গাছ লাগানো, সকল ধরণের সংস্কার, সিসিটিভি স্থাপন সহ সব ধরণের প্রস্তুতি ইতিমধ্যেই শেষ হয়েছে বলেও জানান গণপূর্তের এই কর্মকর্তা।
ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি রেজাউল করিম মল্লিক জানান, আগামী ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবসকে কেন্দ্র করে জাতীয় স্মৃতিসৌধে ৪ স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। পোশাকে এবং সাদা পোশাকে নিয়োজিত থাকবে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর ৪ হাজার সদস্য। জনগণের সার্বিক নিরাপত্তা রক্ষায় এই ফোর্স কাজ করবে।
তিনি জানান, ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত পোশাকে ও সাদা পোশাকে নিয়োজিত থাকবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। সকল ধরণের নিরাপত্তায় কাজ করবেন তারা।
রাউফুর রহমান পরাগ 



